সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ- প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসা সেবা। এ কারণে রোগীদের নিয়ে ছুটতে হচ্ছে ঢাকায়। অনেক গুরুতর অসুস্থ রোগীকে পথেই ঢলে পরতে হচ্ছে মৃত্যুর কোলে। এ অঞ্চলের কোটি মানুষের একমাত্র ভরসা স্থল এ চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে সচল নেই অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতিও।
বার্ন ইউনিট চালুর চার বছর পার হলেও সমস্যা সমাধানে নেই কার্যকরী কোনো উদ্যোগ। তাই জরুরী ভিত্তিতে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মার্চ মেডিক্যালের নীচতলায় আটটি বেড নিয়ে বার্ন ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে ৩৬টি বেডে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতিদিন আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছের আরও ২০ থেকে ২৫ জন রোগী। এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে বার্ন ইউনিটে আটজন চিকিৎসকের পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। তাকে সব সামাল দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, গত এক বছরে বার্ন ইউনিটে এক হাজার ৩৫জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন ৯১২ জন। এ্যানেসথিসিয়া চিকিৎসক না থাকায় সপ্তাহে একদিন রোগীদের অপারেশন করা হচ্ছে। চিকিৎসক সংকট এবং পরিপূর্ণ অপারেশন থিয়েটার না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের বাধ্য হয়েই ঢাকায় পাঠাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের দায়িত্বরত চিকিৎসক।
হাসপাতালের পরিচালকের দাবি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ে পাস করা শিক্ষার্থী না থাকায় চিকিৎসক সংকট কাটছে না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
Leave a Reply